সবুজায়ন বা বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় এখন অনেক জায়গাতেই কর্মসূচি চলছে। এ কার্যক্রমের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হচ্ছে লামা। ক্রমাগত সবুজায়নের ফলে রুক্ষ, উষর লামা এখন পরিণত হয়েছে শীতল, সবুজে সুশোভিত। প্রতিষ্ঠার প্রথম পাঁচ বছরে প্রায় ৩২ একর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। নিমস্কয়ার, পেয়ারা বাগান, আমলকি আর আনারস বাগান ছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির বনজ, ফলজ ও ওষধি গাছ। রয়েছে ৪৮ প্রজাতির ফুলের গাছ। একটা সময় ছিলো যখন প্রখর সূর্যকিরণের কারণে শত শত গাছের গোড়ায় পানিভর্তি কলস বিছিয়ে বাঁচাতে হয়েছে এ গাছগুলোকে। বৃক্ষ রোপণের জন্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে গাছের চারা সংগ্রহের পাশাপাশি লামা সেন্টার নিজস্ব নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতির চারা তৈরি করছে। ২০১০ সালে লামায় সবুজায়নের আওতায় লাগানো হয়েছে মোট ৫০ হাজার চারা যা কোয়ান্টামমের নিজস্ব নার্সারিতেই তৈরি করা হয়েছে।
সবুজায়ন ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গন, শহরের প্রধান রাস্তার দুপাশে গাছ লাগানো হচ্ছে খুলনা এলাকায়। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট জায়গায় করে দেয়া হচ্ছে ফলের বাগান। রাজশাহীর বোধিপুরে কোয়ান্টামের নিজস্ব বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে বাউকুল আপেল কুল, স্ট্রবেরী ও আমের বাগান। ভুট্টা পেঁপে প্রভৃতি চাষ করা হচ্ছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতেই।
সবুজায়ন একদিকে বাড়িয়ে তুলছে প্রকৃতির শোভা, অন্যদিকে বিভিন্ন সবজি ও ফলের বাণিজ্যিক উৎপাদনের মাধ্যমে যোগান দিচ্ছে কোয়ান্টামের সেবামূলক কাজে অর্থের প্রবৃদ্ধি। কোয়ান্টাম বিশ্বাস করে সবুজায়নের এই কার্যক্রম সারা দেশকেই সবুজ পত্র পল্লবে আচ্ছাদন করবে অদূর ভবিষ্যতে। বিশ্ব প্রকৃতির রুক্ষতা দূর করে নতুন প্রজন্মকে একটি সবুজ পৃথিবী উপহার দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সবুজায়ন কার্যক্রম।